স্মৃতিতে ছোটলু ভাই
ছোটলু ভাইয়ের চলে যাওয়ার খবর শুনে কত কথাই মনে পড়েছে। সেই অভয়দাস লেনে হেনা চাচীর বাড়িতে একটা কালো গাড়ি করে রাজিয়া খালা আসতেন। মাঝে মাঝে সঙ্গে তাঁর ছেলেমেয়েরাও। নুটু আপা, বাবলু ভাই, ঝুনু আপা আর ছোটলু ভাই। আমরা যেদিন চাচীর বাড়ির মাঠে খেলতে যেতাম ছোটলু ভাই এলে আমরা একসাথে খেলায় মেতে উঠতাম। এর পরে খুব একটা দেখাশোনা হয়নি আর। ছোটলু ভাইয়ের গলা শুনতে পেলাম একেবারে একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতর কেন্দ্র থেকে সংবাদ পাঠক হিসেবে। তারপর একসাথে নাগরিক-এর নাটক করা। ছোটলু ভাইদের রাজারবাগের বাড়িতে রিহার্সেলে নিত্য আনাগোনা। এর মাঝে আমি সিলেট চলে যাওয়াতে তেমন দেখা সাক্ষাৎ হত না কোন সভা সমিতি ছাড়া। তবে সুপ্রিয়’র উদ্যমে সিলেটে নাটক নিয়ে এসেছে নাগরিক কয়েকবার। তখন আবার আগের হৃদ্যতায় জমে ওঠা। জেনেছি ছোটলু ভাই অসুস্থ ছিলেন। দেখতে যাব যাব করে যাওা হয়ে ওঠেনি। কষ্টটা কাটাতে পারছি না। বিরাট ক্ষতি হল নাটকের, সমাজের আর নিজেরও। টিকসি, চিকসি, শ্রেয়া, ঈরেশ আর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা আর ভালোবাসা। ছোটলু ভাই তুমি ভালো থেকো। শান্তিতে থেকে।
সুলতানা কামাল